গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণে নুর সাংবাদিকদের বলেন, "আর মাত্র ১০% ধাক্কা দরকার, তারপর শেষ। প্রশাসন ইতোমধ্যে আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।"
নুরুল হক নুর বলেন, "মানুষের মুক্তি নাই। সরকারের পতন করতেই হবে। প্রশাসন ইতোমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।" রিমান্ডের ব্যাপারে নুর বলেন, "অমানবিক নির্যাতন হচ্ছে, চোখ বেঁধে ঝুলিয়ে, পা বেঁধে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা ভিতরে থাকলেও আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "৯০ শতাংশ পতন হয়ে গেছে। প্রশাসনের মধ্যেও আন্দোলন ঢুকে গেছে। এখন কিছু জনগণকে রাস্তায় থাকলেই হবে। মাত্র ১০ শতাংশ ধাক্কা দরকার, তারপর শেষ।"
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী নুরকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদ্দাম হোসেনের আদালত নুরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী এরশাদ সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৮ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নুরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেয়। এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯ জুলাই বিকাল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সরকার বিরোধী আন্দোলনরত দল ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে ৫/৬ হাজার দুর্বৃত্ত কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায় এবং মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাদের অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুরে মেট্রোরেল স্টেশনের ১০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে, নুরের সমর্থকরা এই এজাহারকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করেছেন এবং তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।